আন্তর্জাতিক মানের বিশাল মন্দির হচ্ছে রূপ সনাতন স্মৃতি তীর্থ ধাম। দেশ বিদেশের কোটি মানুষের তীর্থভূমিতে পরিনত হয়েছে। ৩৮ বিঘা প্রাচীর বেষ্টিত স্থান নিয়ে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইসকন তথা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের সহায়তায় রুপ-সনাতন স্মৃতি তীর্থধাম প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুলতান আলাউদ্দীন হুসাইন শাহের আমলে নির্মিত রুপ-সনাতন আদিধাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তীর্থস্থান। রুপ-সনাতন ও জীবগোস্বামী প্রেমবাগে অবস্থিত রুপ-সনাতন আদিধামের প্রতিষ্ঠাতা। প্রেমবাগের এ পবিত্র ধাম হতে মুঠি মুঠি মাটি নিয়ে অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নে রামসরা গ্রামে বিশাল আয়তনে রুপ-সনাতন স্মৃতি তীর্থধাম প্রতিষ্ঠা করা হয়। রুপ-সনাতন স্মৃতি তীর্থধাম একটি অপূর্ব দর্শনীয় স্থান। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে রামসরা স্মৃতি তীর্থধাম ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রুপ-সনাতনের সাধনপীঠ ও ভজনস্থান ছিল প্রেমবাগ।
ইসকনের বাংলাদেশ প্রধান জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ শ্রীলা প্রভাবিষ্ণু স্বামী গুরু মহারাজ প্রেমবাগের রুপ সনাতনের সাধনপীঠ ও ভজনধামে রূপ সনাতন স্মৃতি তীর্থধাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। পর্যাপ্ত জমি না পাওয়ায় ১৯৮৫ সালে ৫ হাজার মানুষ রুপ সনাতন আদিধাম হতে মুঠি মুঠি মাটি নিয়ে সুন্দলীইউনিয়নের রামসরায় ছিটিয়ে দিয়ে সেখানেই নির্মান করা হয় নয়া রুপ সনাতন স্মৃতি তীর্থধাম। এখানে মূল মন্দিরের পাশে করা হয়েছে পরিক্রমা মন্দির। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তীর্থ স্থানের মাটি এনে গোলাকার পাথুরে পিড়ির ভেতর পুরে বিশেষ কৌশলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ ১০৮ টি পিড়িতে খালি পা রেখে মন্দিরটি ঘোরেন। এ সময় তারা ১৬ শব্দ ও ৩২ অক্ষরে কৃষ্ণ নাম জপ করেন। একটি বিশাল পুকুর রয়েছে, যেখানে পবিত্রতা রক্ষা করা হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে কোন মাছ এ পুকুর থেকে মারা হয় না। বড় বড় মাছ নির্ভয়ে ভেসে বেড়ায়। অনেকে মাছের খাবার সরবরাহ করে। শান বাঁধানো ঘাটে দাঁড়িয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ মাছের বিভিন্ন ভঙ্গিমায় বিচরন দেখেন। প্রতিবছর চৈত্র মাসে প্রতিষ্ঠাবর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর দেশ বিদেশের ৬/৭ লাখ লোকের সমাগম ঘটে। যশোর খুলনা মহাসড়কের আলীপুর নেমে পাকা সড়ক বেয়ে যাওয়া যায় এ ধামে। তাছাড়া নওয়াপাড়া নূরবাগে নেমে সুন্দলী, তারপর রামসরা। শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নয়, সকল ধর্মের মানুষ এ পবিত্র ধাম দর্শন করতে আসেন। প্রতিদিনই পূজা, আরাধনা, প্রসাদ বিতরন করা হয়। দেশ বিদেশের তীর্থ ভ্রমনের সুযোগ জোটে এ মন্দিরের সাথে যুক্ত ধর্মপ্রাণ মানুষের। মন্দিরটির শ্রীবৃদ্ধি সাধনে সবাই সচেষ্ট।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com