খাবার হজম হয়না, গ্যাস, অম্বল, গলা বুক জ্বালা অথবা ভুঁড়ি বৃদ্ধি পাছে, এই সব কিছুই দেখবেন কমে যাবে এক গ্লাস লেবুর জল রোজ খেলে। খালি পেটে লেবুর জল খান নিয়মিত, দেখবেন নিজের অজান্তেই হরেক রকম শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে লেবুর জল কি প্রভাব ফেলে
হজমে সহায়ক
শরীর থেকে অযাচিত পদার্থ এবং টক্সিন বের করে দেয় লেবুর রস। আমাদের হজমের জন্য ব্যবহৃত লালা এবং পাচক রসের সাথে বেশ মিল আছে এর গঠন এবং কাজের।
মূত্র পরিস্কার করে
শরীরে মুত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া মূত্রনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে থাকে অনেকটা ভিটামিন সি এবং লৌহ যা ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও আছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে
এর অর্থ হলো শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় রোগ।
ত্বক পরিষ্কার করে
ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।
মন ভালো করে দেয়
সকালেই প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই। দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা দূরীকরণেও এর জুড়ি নেই।
নিঃশ্বাসে আনে তরতাজা ভাব
নিঃশ্বাসে লেবুর সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম জলের সাথে লেবুর রস খেলে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়।
ওজন কমাতে সহায়ক
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। ফলে ওজন কমে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com