বাবা-মায়েরা সচরাচর সন্তানের সফলতা কামনা করেন। এজন্য সন্তানকে কঠোর পরিশ্রমের জন্য চাপও দেন অনেকে। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রোনাল্ড ফার্গুসন নতুন এক গবেষণায় দেখেছেন, সন্তানকে সফল হিসেবে দেখতে চাইলে বাবা-মাকে কিছু ভূমিকা পালন করতে হবে।
আর বাবা-মাকে এসব ভূমিকা পালন করতে হবে সন্তানের অল্প বয়সে। এমনকি তারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই এসব ভূমিকা নিতে হয় বাবা-মাকে। অক্ষর থেকে শুরু করে নানা ধরনের শব্দ শিখতে শুরু হতে হবে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই। আর কিন্ডারগার্টেনেই পড়তে শিখে যায় পরবর্তী সময়ে সফল হওয়া বেশিরভাগ শিশু। অল্প বয়সে তারা যে পড়তে পারছে, অন্য বাচ্চাদের তুলনায় তারা যে এগিয়ে; এই এগিয়ে থাকা পরবর্তী সময়েও কাজে দেয়। এজন্য অল্প বয়সেই তাদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বাবা-মা। সেক্ষেত্রে শিশুদের তাদের মতো করে থাকতে দিন। নতুন নতুন ধরনের কিছু নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করে তারা। এক্ষেত্রে তাদের বাধা দেওয়া যাবে না। অন্যদের সঙ্গে তারা কিভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলছে, কিভাবে অন্যদের সঙ্গে তারা বোঝাপড়া তৈরি করছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের সফলতা চাইলে তাদের শিশু মনের ওপর চাপ দেবেন না। আবার অভাবের কারণে সন্তানের ব্যাপারে অনেকেই যত্ন নিতে পারেন না। আবার অনেকেই নিজের সম্পদ খরচ করে সন্তানের ভালোর চিন্তা করেন। তবে নিজের অভাবের বোঝা যেন সন্তানের ওপর না চাপে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আবার তাদেরকে মিতব্যয়ী হতেও শেখানো দরকার। আসলে পৃথিবীটা যেন সন্তানরা নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করতে পারে, সেই সুযোগ তাদের দিতে হবে। জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। এতে করে তাদের চিন্তা আরো গভীর হবে। যে কোনো ব্যাপারে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ফল আসতে পারে। আশানুরূপ ফল না এলে সন্তানদের সেটা মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে দিতে হবে। এতে করে জটিল পরিস্থিতি তারা সহজে পার করতে পারবে।
আবার অন্যদিকে, সন্তানের সামনে অনেক বাবা-মা উচ্চস্বরে কথা বলেন। অনেক সময় ঝগড়া বা মারামারিও করেন অনেকেই। তবে এতে করে সন্তানের মনের ওপর প্রভাব পড়ে। সন্তানের সামনে নিজেদের উপস্থাপন সুন্দর হলে সেও একই পথে হাঁটবে। আর সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠা বেশিরভাগ বাচ্চারা পরবর্তী সময়ে সফল হয়।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com