প্রতাপ চন্দ্র সাহা ||
সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য (জন্মঃ- ১০ জানুয়ারি, ১৯৫০ - মৃত্যুঃ- ১২ মে, ২০১৫)
সাতের দশকের শেষের দিকে ছোট গল্প ও আটের দশকের মধ্যভাগ থেকে উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন তিনি। সমকালীন সামাজিক ঘটনাগুলির ওপর ভিত্তি করে তাঁর কাহিনীগুলি রচিত হয়। শহুরে মধ্যবিত্তদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, বর্তমান যুগের পরিবর্তনশীল নীতিবোধ, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে নৈতিক অবক্ষয়, নারীদের দুঃখ-যন্ত্রণা তাঁর রচনাগুলির মূল উপজীব্য ছিল। তিনি বাংলা সাহত্যে মিতিন মাসি নামক মহিলা গোয়েন্দা চরিত্রের স্রষ্টা, এবং এই সিরিজে তিনি অনেকগুলি কিশোর উপন্যাস রচনা করেন। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে তিনি বহু ছোট গল্প ছাড়াও চব্বিশটি উপন্যাস রচনা করেছেন। দহন নামক তাঁর একটি বিখ্যাত উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
সম্মাননা এবং পুরস্কার- নঞ্জাগুডু থিরুমালাম্বা জাতীয় পুরস্কার, ব্যাঙ্গালোর (১৯৯৬), কথা পুরস্কার (১৯৯৭), তারাশংকর পুরস্কার (২০০০), দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার (২০০১), শরৎ পুরস্কার (২০০২), ভুবনমোহিনী মেডেল (২০০৪), ভারত নির্মাণ পুরস্কার (২০০৪), সাহিত্য সেতু পুরস্কার (২০০৪), শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার (২০০৪)
সুচিত্রা ভট্টাচার্য বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর পিত্রালয় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে, তবে কলকাতা শহরে তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে। তিনি কলকাতা শহরের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময় তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার পর তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। লেখিকা হিসেবে সম্পূ্র্ণ রূপে সময় দেওয়ার জন্য তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়।
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল-
কাছের মানুষ
দহন
কাঁচের দেওয়াল
হেমন্তের পাখি
নীল ঘূর্ণি
অলীক সুখ
গভীর অসুখ
উড়ো মেঘ
ছেঁড়া তার
আলোছায়া
অন্য বসন্ত
পরবাস
পালাবার পথ নেই
আমি রাইকিশোরী
রঙিন পৃথিবী
জলছবি
যখন যুদ্ধ
ভাঙ্গন কাল
আয়নামহল
এইবেলাডটকম/প্রচ
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|