ঢাকা: আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং কাদেরকে প্রার্থী করা যায় তা নিয়ে একসঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির হাইকমান্ড।
তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের চাপও রয়েছে। বিএনপির হাইকমাণ্ডও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চাইছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণও শুরু হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণে মেয়ার প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন ও অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্খাকে বিবেচনায় নিয়ে দল একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।
এরই মধ্যে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।এ নিয়ে দলের মধ্যে জোর তৎপরতা চলছে।
সূত্র বলছে, বিএনপির অধিকাংশ নেতাই চাইছেন ডিসিসি ও চট্টগ্রাম নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিক। তাদের অভিমত, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপির সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত।
বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চাইছে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্যই বিএনপি আন্দোলন করছে। তবে সিটি নির্বাচনকেও বিএনপি বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি পজিটিভ কিছু হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের চিন্তাভাবনা আমরা ভেবে দেখছি। তবে আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়া যাবে না। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এ নির্বাচন হবে। সিদ্ধান্ত এখনও প্রক্রিয়াধীন।’
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, ‘বিএনপি এখনও সিটি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের যাওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তই হয়নি। আর প্রার্থী নির্বাচন তো দূরে থাক।’
তবে এখনও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত না হলেও প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকেই প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও এটি প্রকাশ্যে নয়। ভেতরে ভেতরে অনেকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে বার্তা দিতে চাইছেন- নির্বাচনে অংশ নিলে যেন সুদৃষ্টি দেয়া হয়।
বিএনপি চাইছে, সিটি নির্বাচনে অংশ নিলে যেন প্রার্থীরা পরাজিত না হয়। সে জন্য ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোনয়নের কথাই ভাবছে দলীয় হাইকমান্ড।
ঢাকার দুই সিটিতে বিএনপির যেসব প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম।