বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি পূর্ব বাংলার শ্রেণীপেশার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। কারণ পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আমাদের পূর্ব বাংলার মানুষের মূল দ্বন্দ্ব ছিল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য। অর্থনৈতিক বৈষম্য এমন প্রকট ছিল যা প্রতিটি সাধারণ মানুষও অনুধাবন করতে পেরেছিল। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে এমন এক সম্মোহনী শক্তি ছিল, যার মাধ্যমে উজ্জীবিত হয়ে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে স্বাধীনতাকামী/মুক্তিকামী মানুষেরা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশের আপামর জনসাধারণ বুজতে সক্ষম হয়েছিল, স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলন্বী হওয়া অতীব জরুরি।
১৬ ডিসেম্বর আমরা আমাদের ৪৬তম বিজয় দিবস উৎযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের অর্থনৈতিক মুক্তি আজ মহাসড়কে ধাবমান। অনেক প্রকার প্রতিকূলতার মধ্যেও এমডিজি’র মতো এসডিজি অর্জনের পথে আমরা দ্রুতগতিতে হাটছি, নিজেদের সক্ষমতায় পদ্মাসেতুর মতো প্রকল্প সমাপ্তির পথে, ২০১৭-২০১৮ বর্ষের প্রাক্কলিত জিডিপি ৭.২৮ এবং পারকেপিটা ইনকাম ১৬১২ মার্কিন ডলার। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ বিদ্যুতের চাহিদার অনেকটাই পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হতে পেরেছে আমাদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অর্জিত বাংলাদেশ। বিজয়ের প্রথম প্রহরে এদেশের সূর্য সন্তানেরা পড়াশুনা করে প্রায় সকল স্তরের সর্বোচ্চ পদে অসিন হয়ে সুচারুরূপে তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম ও সফল হচ্ছে। মহান স্বাধীনতা অর্জিত না হলে, বিজয় অর্জিত না হলে এই প্রকার অর্থনৈতিক নির্ভরতা কোনভাবে সম্ভব হতো না। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্পুর্ত অংশীদারত্বেই আজকের এই প্রকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমাদের মহান বিজয় অর্জনের জন্য যেসকল বীরেরা তাঁদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, যেসকল মায়েরা তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়ে আমাদের সুন্দর স্বাধীনদেশ উপহার দিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা এবং আজকে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সাফল্যের অংশীদার সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে জানাই মহান বিজয়ের শুভেচ্ছা।
এসএম
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|