জাপানে আজ থেকে ১৩০০ বছর আগে হোশি রোকান নামে একটি ট্র্যাডিশনাল হোটেল কাম রেস্তোরাঁ খোলা হয়। সেটি এতবছর ধরে চলে আসছে। রোকান শব্দের জাপানি অর্থ হোটেল। ৭১৮ সালে এটি তৈরি হয়। জাপানের কোমাতসু-র ওয়াজু ওনসেন এলাকায় এটি তৈরি হয়। মোট ৪৬টি প্রজন্ম ধরে এটির দায়িত্ব বহন করে আসছে এতগুলো শতক ধরে। সবমিলিয়ে এ এক অনন্য রেকর্ড।
প্রাচীনতম হোটেল
প্রথমে ধরা হতো হোশি রোকান পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো হোটেল যা আজও চলে আসছে। তবে পরে জানা যায় তারও আগে আর একটি হোটেল রয়েছে। সেটিও জাপানেরই। নিশিয়ামা ওনসেন কেইউনকান। ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে এটি তৈরি হয়। ফলে হোশি রোকান দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলেও তার কৃতিত্ব এতটুকু খাটো হচ্ছে না।
মোট ৪৬ প্রজন্ম ধরে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পর, পরবর্তী প্রজন্মও এতে উৎসাহ দেখিয়েছে। পরিবারের যারা ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তারাও ফেরত এসেছেন এই হোটেলের টানে। এই হোটেল এক অনন্য গৌরব যা পরিবারের সমস্ত সদস্যদের চোখেমুখে ছাপ ফেলে গিয়েছে।
প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবন
১৩০০ বছর পূর্বে তাইচো দাইশি এই হোটেলটি তৈরি করেন। বলা হয় সেখানকার পর্বতের দেবতা হাকুসান দাইগনজেনের দানে প্রাকৃতিকভাবেই হোটেলের মধ্যে উষ্ণ প্রস্রবন রয়েছে। মানুষের ব্যথা-বেদনা দূর করতেই এই উষ্ণ প্রস্রবন দেবতা সৃষ্টি করেছেন।
গোসলের জায়গা
সেজন্যই হোটেলের ঘরে তো বটেই, এমনকী বাইরে খোলা আকাশের নিচে গোসলের জায়গা রয়েছে। উষ্ণ প্রস্রবনের পানিতে গা সেঁকে একেবারে তরতাজা হয়ে নেওয়া যাবে এখানে। এখানে একদিন থাকলে পুরনো জাপানি ট্র্যাডিশনকে পরখ করে দেখতে পারবেন আপনি। ছেলে-মেয়ের আলাদা বাথরুমের পাশাপাশি প্রাইভেট বাথরুমও রয়েছে।
হোটেলের রুম
মোট চারটি ভাগে বাগানের মাধ্যমে হোটেলের ঘরগুলোকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের আলাদা নাম ঋতুর নাম অনুযায়ী। বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ ও শীত। এক একটি ঋতুতে এখানে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। বলা যায়, জীবনের সঙ্গে সঙ্গে এই হোটেলটিও যেন আবর্তিত হয়ে চলেছে।
শতাধিক রুম
এই হোশি হোটেলে রয়েছে শতাধিক রুম। সবমিলিয়ে মোট সাড়ে চারশো অতিথি একসঙ্গে হোটেলে থাকতে পারেন। সকলকেই ট্র্যাডিশনাল জাপানি পদ্ধতিতে অভ্যর্থনা জানানো হয় এখানে।
জাপানি খাবার
এখানে নানা ধরনের জাপানি খাবার চেখে দেখতে পারবেন আপনি। কয়েছে হাকুসান কোর্স, কাগা কোর্স। স্টার্টার থেকে মেন কোর্স, পুরোটাই জুড়ে রয়েছে জাপানি ট্র্যাডিশনের ছোঁয়া। জাপানিরা মাছ ভালো খায়। হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছের ডিস এখানে পাবেন একেবারে অন্য স্বাদে।
নি এম/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|