ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গৃহবধূ স্বপ্না আক্তারকে(১৮) পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাঁচবাগ ইউনিয়নের আমাটিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের মা ছালমা খাতুন বাদী হয়ে গফরগাঁওয়ের পাগলা থানায় বৃহস্পতিবার শ্বশুর-শ্বাশুরী, দেবর ও ননদসহ ৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আমাটিয়া গ্রামের মুনজুর মিয়ার ছেলে সৌদী প্রবাসী রমজান আলীর সাথে একই গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না আক্তারের গত আট মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পর স্বামী রমজান সৌদি চলে যায়।
এরপর গৃহবধু স্বপ্না তার বাবার বাড়ি যেতে চাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন শুরু করে মর্মান্তিক নির্যাতন। স্বামী ও বাবার বাড়ির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে কেড়ে নেয়া হয় মুঠোফোনটিও। বুধবার সকালে গৃহবধূ স্বপ্নার মা ছালমা আক্তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে তাকেও অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। স্বপ্নার মা চলে আসার পর স্বপ্নার উপর পুনরায় শুরু হয় নির্যাতন।
নির্যাতনে স্বপ্নার মৃত্যু হলে মরদেহ রাতে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার দেয় শশুর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ বুধবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর মা ছালমা আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবর রোকন মিয়া, শশুর মন্জুর আলী, শাশুরী ফরিদা খাতুন, ননদ হাসিনা খাতুন ও খুকিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পাগলা থানার ওসি চাঁন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এসএম
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|