eibela24.com
শুক্রবার, ২৯, মার্চ, ২০২৪
 

 
ঈশ্বরগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র হিন্দু বাড়িতে হামলা, লুটপাট
আপডেট: ১০:২১ pm ১২-০৮-২০২০
 
 


কিশোরদের ক্রিকেট খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়দের নেতৃতে এক হিন্দু বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি নববধূর সাজানো বাসর ঘর। সেখান থেকে এক লাখ আশি হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ অগাষ্ট) রাত আটটার পর এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর গ্রামে। বুধবার ৯ জনকে ও অজ্ঞাত আরো ৮/৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামে অবস্থিত সুধাংশু দেবনাথের বাড়ি। তিনি পাশের লাটিয়ামারি বাজারে ছোটখাট ব্যবসা করেন।

সুধাংশুর ছেলে বিচিত্র দেবনাথ (১৮) জানান,  মঙ্গলবার বিকেলে রাজীবপুর ও পাশের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সাথে একটি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ওই খেলাকে কেন্দ্র করে রামকৃষ্ণপুর দলের খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের মারধর করে। রাজীবপুর দলের পক্ষে খেলছিলেন বিচিত্র দেবনাথ। 

প্রতিপক্ষের অভিযোগ, রামকৃষ্ণপুর দলের খেলোয়াড়দের মারধরে অংশ নিয়েছে বিচিত্র দেবনাথ। তাই তাদের বাড়িতে এই হামলা এবং লুট করা হয়।

ওই বাড়ির প্রতিবেশী মো. আমিনুল ইসলাম (৫৫) নামে এক বাসিন্দা বলেন, রাজীবপুর গ্রামের একটি মোড়ে এ নিয়ে যখন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখন তিনি সেখানে গিয়ে সকলকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। ঘটনাটি তিনি পরদিন (বুধবার) সকালে দেখবেন বলে জানান। কিন্তু একটি দল জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হইচই সহকারে সুধাংশুর বসতঘরে প্রবেশ করে তন্ন তন্ন করে বিচিত্র দেবনাথকে খুঁজতে থাকে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা বিছানাসহ কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করে। তারা চলে যাবার পর তিনি (গৃববধূ) তাঁর ঘরে প্রবেশ করে গহনার বাক্স পাননি। ওই কৌটায় প্রায় আড়াই ভড়ি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার রাখা ছিল। এ ছাড়া তাঁর বিছানার নিচে রাখা নগদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা রাখা ছিল। সেই টাকাও লুট করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রাজু মিয়া ও তার দলবল বিচিত্র দেবনাথকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বিচিত্র প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে বাড়িতে গেলে সেখানে যায় ফয়েজ উদ্দিনসহ অনেকেই। আর লুটপাট চালায় তাঁর নির্দেশে ছেলে রাজুর দলবল।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, মামলার পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

নি এম/