ফাইনালের আগের দিন মাঠে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। এমনকি হোটেলেও ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। টিম ম্যানেজমেন্টকে ‘না জানিয়ে’ করেন বিজ্ঞাপনের শুটিং। সাকিবের এমন কাণ্ডে বিপিএলের সুরক্ষা বলয় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর তার করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। সুখবর হলো, নেগেটিভ হয়েছেন তিনি। ফলে ফাইনালে মাঠে নামতে আরও কোনও বাধা নেই সাকিবের।
এই অলরাউন্ডারের দল ফরচুন বরিশালের টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে বিষয়টি জানা য়ায়। সুরক্ষা বলয় ভেঙে বাইরে গেলেও করোনা পরীক্ষায় যেহেতু নেগেটিভ এসেছেন, তাই ফাইনালে সাকিবকে নিয়েই নামতে যাচ্ছে ফরচুন বরিশাল।
২০২২ বিপিএলের ফাইনাল আজ (বৃহস্পতিবার)। এই ম্যাচ সামনে রেখে আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকালে দুই ফাইনালিস্ট ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কদের ফটোসেশন করার কথা থাকলেও সাকিব ছিলেন অনুপস্থিত। ফাইনালের আগে দেশে বানানো সোনালি রঙের ট্রফি উন্মোচন করেছেন নুরুল হাসান সোহান ও ইমরুল কায়েস। বরিশালের অধিনায়ক সাকিব একটি টেলিভিশন কমার্শিয়ালের শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কারণেই তার জায়গায় ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন সোহান।
এবারের বিপিএলে নেই জৈব সুরক্ষা বলয়। ম্যানেজড ইভেন্ট ইনভাইরোমেন্ট (এমইই) প্রটোকলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের আসর। কড়াকড়ি কমিয়ে ক্রিকেটারদের সুবিধার্থেই নেওয়া হয়েছে এই সুরক্ষা নীতি। তবে নিয়ম অনুযায়ী কেউ টিম হোটেলের বাইরে গেলে তাকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে। সাকিব নেগেটিভ হওয়ায় ফাইনাল খেলতে আর কোনও সমস্যা নেই।
শুক্রবার সাড়ে ৫টায় কুমিল্লার বিপক্ষে মাঠে নামবে বরিশাল। ম্যাচের আগের দিন নানা ঘটনায় টালমাটাল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যদিও সাকিব বরাবরই মাঠের আলোচনা থামিয়ে পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে আলোতে টেনে নেন।
বিপিএলে সাকিব ব্যাটিং-বোলিংয়ের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েও বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান বিপিএলে টানা ৫ ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন। সেরাদের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে তিনি। ১০ ম্যাচে ২৭৭ রান করেছেন। বল হাতেও তার শিকার ১৫ উইকেট। তার কাছাকাছি নেই আর কোনও ক্রিকেটার। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিব বরাবরই দুর্দান্ত পারফর্মার। আজ কুমিল্লার বিপক্ষে সেটাই দেখার অপেক্ষায় সাকিব ভক্তরা।
বৃহস্পতিবার সাকিবের মাঠে না আসা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিল বরিশালের টিম ম্যানেজমেন্ট। ফটোসেশনের আগে দলটির ম্যানেজার সাব্বির খান জানিয়েছেন, পেটের পীড়ার কারণে সাকিব আসতে পারেননি। এরপর সোহান জানান ভিন্ন তথ্য। বিকালে বরিশালের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন আবার জানান ‘ইচ্ছা করেই’ নাকি অনুশীলনে আসেননি সাকিব!
যদিও অফিসিয়াল ফটোসেশন এড়িয়ে যাওয়ার সাকিবের জন্য নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল ফটোসেশন এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার যেভাবে এড়িয়ে গেলেন, সেটি সাকিবের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে!
নি এম/