eibela24.com
শনিবার, ০২, নভেম্বর, ২০২৪
 

 
ভারতকে তথ্য দিল সুইচ ব্যাংক; বাংলাদেশ কেন ততপর নয়?
আপডেট: ০৬:৪২ pm ১১-১০-২০২২
 
 


সুইস ব্যাংকের ৩৪ লাখ অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য ভারত সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। অ্যাকাউন্টগুলোর মালিক অনাবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় সংস্থা, তারা ১০১টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ বছর সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের ‘কালো টাকার’ খবর পেল ভারত।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে সুইজারল্যান্ডেরর ফেডারাল ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফটিএ) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের স্বয়ংক্রিয় তথ্য বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী বছরের সেপ্টেম্বরেও এ ধরনের তথ্য বিনিময় তবে। গত বছর ভারতসহ ৮৬টি দেশের সঙ্গে এমন তথ্য বিনিময় করেছে সুইজারল্যান্ড।  

চলতি বছরে তথ্য বিনিময় করা দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আলবেনিয়া, ব্রুনাই দারুসসালাম, নাইজেরিয়া, পেরু ও তুরস্ক। সেই সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় এক লাখ।

ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো যে সমস্ত ব্যক্তি বা সংস্থার, তাদের নাম-ঠিকানা ছাড়াও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর এবং মূলধনী আয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর মালিক এই মুহূর্তে কোন দেশে বসবাস করছেন অথবা তার সুইস অ্যাকাউন্টে কত অর্থ রয়েছে, তাও জানিয়েছে এফটিএ।

ধারণা করা হচ্ছে, সুইস ব্যাংকের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে হিসাববহির্ভূত সম্পদের হদিস পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কর ফাঁকি দেওয়া বহু ব্যক্তি এবং সংস্থাকে ধরার সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপে মদদদাতাদেরও ধরা সম্ভব হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এসব তথ্যকে হাতিয়ার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

নাম গোপন রাখার শর্তে এক সুইস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলোর বেশির ভাগই বহু ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং অনাবাসীদের নামে রয়েছে। তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ছড়িয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় বসবাস করছেন।

এই বিপুলসংখ্যক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ছাড়াও কর ফাঁকি কিংবা আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শতাধিক ভারতীয় সম্পর্কে সুইস কর্তৃপক্ষ তথ্য দিয়েছে।

এফটিএ জানিয়েছে, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৯ হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের তথ্য বিনিময় করা হয়েছে। তারা এসব তথ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। যার বিনিময়ে প্রায় ২৯ লাখ অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতে পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।

সূত্র : আনন্দবাজার