শারীরিকভাবে শিশুর বেড়ে ওঠা অনেকটা তার খাদ্যাভাসের উপর নির্ভর করলেও মানসিক স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি কিন্তু থাকে তার পরিবারের হাতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে তার নিজের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, আবেগ, কষ্ট— এই সব অনুভূতির সঙ্গে কী ভাবে মানিয়ে চলতে পারবে, তার অনেকটাই ভিত্তি তৈরি হয়ে যায় ছোটবেলায়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে হাল ধরতে হবে পরিবারকেই । বাড়িতেই তৈরি করতে হবে এমন পরিবেশ, যেখানে মন খুলে শিশু কথা বলতে পারে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-
ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করা: ছোট বলে শিশুদের সব বিষয়ে অযাচিতভাবে ঢুকে পড়া ঠিক নয়। এতে পরবর্তী কালে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বড় হলে সে-ও এমন ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে। অন্যদের কথার মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়ার প্রবণতা তৈরি হবে। অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে সংযত হতে হবে। শিশুরা ছোট, বুঝতে পারবে না ভেবে তাদের সামনে এমন কোনও কথা বলবেন না, যা বলার কথা নয়।
নিজের মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা: শিশুদের মনে সারা ক্ষণই নানা প্রশ্নের ভিড় করে। কিন্তু কোথায় কোন প্রশ্ন করা উচিত বা কোথায় কোন কথা বলা উচিত নয়, সে বিষয়ে তাদের জ্ঞান থাকে না। তাই অনেক অভিভাবক সন্তানকে ভয় দেখান। যাতে তারা মানুষের সামনে কোনও প্রশ্ন করে মা-বাবাকে বিপদে না ফেলে। কিন্তু এই ভয় থেকেই জন্ম নেয় কুণ্ঠাবোধ। যা পরবর্তী কালে শিশুর মত প্রকাশের ক্ষমতা নষ্ট করে। সেজন্য শিশুদের ভয় না দেখিয়ে সব কিছু বুঝিয়ে বলা উচিত।
সতন্ত্রতা বজায় রাখা : অনেক কিছু পরিবেশ থেকে গ্রহণ করলেও, নিজের পরিবারের কাঠামো বুঝে শিশুর নিজস্বতা বজায় রাখার পরামর্শ দিন। কারণ, প্রতিটি পরিবারের ঐতিহ্য, রুচিবোধ, ভাল লাগা, মন্দ লাগা আলাদা। তাই অন্য কাউকে দেখে প্রভাবিত হওয়ার অভ্যাস ছোট থেকেই শুধরে দিন।
এইবেলাডটকম/বম