সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার তাঁতিকোনার ৯ নং ওয়ার্ডে ধর্মীয় উপাসনালয়ে অতর্কিত হামলা এবং প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।
গত রবিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা স্বরাজ দাসের বাড়িতে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাতকের পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড তাতীকোনা মহল্লায় তাপস ও মোঃ আরিফের সাথে ফেসবুকের কমেন্ট নিয়ে কথা কাটা-কাটির জেরে এই জঘন্য ঘটনা ঘটেছে! রবিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সময় অতর্কিত হামলা চালায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল দূস্কৃতিকারীরা মুক্তিযোদ্ধা স্বরাজ দাসের বাড়ীতে।
দূস্কৃতিকারীরা ভাংচুরের শুরুতেই মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। অতর্কিত হামলায় বাঁধা দিলে, নারী শিশু সহ কমপক্ষে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতরা হলেন, ১। তাপস পাল (৩০), ২। শিপলু পাল( ২৮), ৩। পবলু দাস (৩২), ৪। পিপলু দাস ( ২৬) , ৫। সুমন দাস (৩৫), ৬। রাতুল চৌধুরী( ৩৩,) ৭। শিমুল দাস সহ অনেকেই।
এ ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে তাপস দাস বাদী হয়ে হামলাকারী ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এছাড়াও রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির, এসপি সার্কেল (ছাতক) বিল্লাল হোসেন।
সোমবার (১১ মে) দুপুর ১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন উভয় পক্ষকে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল জানান, দুই বন্ধুর মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্ট নিয়ে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২২ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com