নাটোরের লালপুর মোবাইলে পাবজি খেলতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেলো ফারুক হোসেন (১৮) নামে এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর। সে উপজেলার বাওড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং গোপালপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড বিএম কলেজের এইএসসি পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার আজিমনগর রেল স্টেশনের অদুরে বাওড়া-বিষ্ণুপুর রেল লাইনে ঈশ্বরদী গামী মালগাড়িতে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পিতা বাচ্চু মিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ছয়মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই সুযোগে বন্ধুদের সাথে মোবাইল গেমে আসক্ত হয় তার ছেলে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে রেল লাইনের ওপর চার বন্ধু পাশাপাশি বসে মোবাইলে “পাবজি” ও “ফ্রি ফায়ারে” মেতে ওঠে। পরে রাত বেশি হওয়ায় অন্যরা চলে গেলেও ফারুক একাকী রেল লাইনে বসেই পাবজি খেলছিল। গেমসটি খেলতে গিয়ে সে এতটাই বেখেয়াল হয়ে পড়েছিল যে, ট্রেন আসলেও তা বুঝতে পারেনি। ফলে একপর্যায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
ওসি সেলিম রেজা বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাওড়া-বৃষ্টপুর সংযোগে ঈশ্বরদীগামী মালগাড়ি ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে মস্তক বিচ্ছিন্ন দেহ ও পরে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে মাথা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ শনাক্ত করে।”
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com