নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সারা দেশ। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে প্রায় সব জায়গাতেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্র সরকার।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য নাগরিকত্ব আইনের অধীনে পাঁচটি ধারা প্রকাশ করেছে।
প্রথম দফা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে প্রথম দফার অন্তর্গত অনুচ্ছেদ ৫ জন্মগতভাবে নাগরিকত্বে বলা হয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভারতে জন্মগ্রহণ করলে তিনি এ দেশের নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির অভিভাবক বা কেউ যদি ভারতে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারির পর কিন্তু ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মান, তবে তিনি জন্মগতভাবে ভারতীয়। দ্বিতীয় অবস্থা আবার ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ জন্মগ্রহণ করলে অথবা তাঁর অভিভাবক ভারতের নাগরিক হলে তিনিও জন্মগতভাবে এ দেশের নাগরিক হবেন। ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কেউ জন্মালে সেক্ষেত্রে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সেই ব্যক্তির উভয় অভিভাবকই ভারতের নাগরিক বা তাদের মধ্যে কেউ জন্মের সময় অবৈধ অভিবাসী ছিলেন না ও অন্য একজন ভারতের নাগরিক সেক্ষেত্রে জন্মগত দিক থেকে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হবেন।'
তৃতীয় ধারা বংশগতদিক থেকে দ্বিতীয় নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে, ‘কোনও ব্যক্তি ভারতের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন বা ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কিন্তু ১৯৯২ সালের ১০ ডিসেম্বরের আগে কেউ যদি জন্মান তবে তিনি বংশগতদিক থেকে ভারতীয় হবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁর বাবাকে জন্মগতভাবে ভারতীয় হতে হবে।' নথিভুক্তকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্বের নির্ণায়কে বলা হয়েছে যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনও ব্যক্তি যিনি সাধারণত নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ভারতে বসবাস করেছেন তিনি ভারতের নাগরিক হিসাবে নথিভুক্ত হওয়ার যোগ্য। চতুর্থ ধারা নথিভুক্তকরণের আওতায় নাগরিকত্ব নীতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তির, যিনি ভারতীয় নাগরিক, তাঁর শিশুও ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। পূর্ণ বয়স্ক এবং যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি যার পিতা-মাতা ভারতের নাগরিক হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছেন তাঁরা ভারতের নাগরিক হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার যোগ্যতা পাবেন।' এছাড়াও যদি কোনও পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁর যোগ্যতা রয়েছে তিনি যদি ভারতে ১২ বছর বসবাস করেন, তবে তাঁকে নাগরিকত্ব অর্জনের শংসাপত্র দেওয়া হবে।
পঞ্চম ধারা অবশেষে, ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে নাগরিকত্বের বিধান বলা হয়েছে, ‘যদি কোনও নতুন অঞ্চল ভারতের অংশ হয়ে যায়, সরকার সেই অঞ্চলের ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট করে দেবে যে তাঁদের ভারতের নাগরিক হতে হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই এ জাতীয় ব্যক্তিরা ভারতের নাগরিক হয়ে ওঠেন। এধরনের বিজ্ঞপ্তি লাঘু হয়েছিল গোয়া, দমন ও দিউ, সিকিম এবং অনেক বাংলাদেশী ছিটমহলের ক্ষেত্রে, যেগুলি ২০১৪ সালে ভারতের অংশ হয়ে যায়।'
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com